সাও পাওলোর মোরুম্বি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে কৌতিনিয়োর জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতে ব্রাজিল। অপর গোলদাতা এভেরতন।
গোল তিনটি ব্রাজিল পায় দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে তিতের শিষ্যদের খেলায় ছিল না চেনা দ্যুতি। ৪৬ হাজার ৩৪২ দর্শকে স্টেডিয়ামের পুরোটা ভরেনি। আর প্রিয় দলের খেলায় মন ভরেনি সমর্থকদের। খেলোয়াড়দের তাই শুনতে হয় দুয়ো ধ্বনি।
কোচ তিতে স্বীকার করেন, তার খেলোয়াড়রা দুয়ো শুনেছিল। জানান, দল ভালো না খেলায় সমর্থকদের কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়াটা প্রত্যাশা করা বাস্তবসম্মত নয়।
“আমরা এটা অনুভব করছিলাম। দলের তরুণরা এটা অনুভব করেছে। আমি অনুভব করেছি।”
“বড় কোনো দলে খেললে যখন আপনি মাঝেমধ্যে কিছু করে দেখাতে পারবেন না, তখন বিষয়টা সমর্থকরা বুঝবে এটা আপনার প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। তারা দুয়ো দেবে। যখন আপনি পেছনে বল পাস দিবেন, ফুল ব্যাক থেকে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, গোলরক্ষকের কাছে, তখন আপনি প্রথম যেটা শুনবেন, সেটা হচ্ছে দুয়ো!”
“আমাদের বিষয়টি বোঝা দরকার। যদি আমরা আক্রমণে উঠি এবং সুযোগ তৈরি করি, তখন তারা হাততালি দিবে।”
ব্রাজিলের বড় দুটি শহর সাও পাওলো এবং রিও দে জেনেইরোর সমর্থকরা ততটা দল অন্তঃপ্রাণ নয়। ব্রাজিল অধিনায়ক দানি আলভেস আশা করছেন তার নিজের প্রদেশ বাহিয়াতে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গ্রুপের পরের ম্যাচে সমর্থকরা দলকে অনেক বেশি সমর্থন করবে।
“সাও পাওলোতে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এখানে অনেক ক্লাবের সমর্থক আছে; তাই এখানে খেলা সব সময় জটিল।”
“বাহিয়ার পরিবেশ ভিন্ন। মানুষ ব্রাজিল দলকে মিস করে। নিশ্চিতভাবে এখানকার চেয়ে বাহিয়াতে বিষয়গুলো আরও বেশি প্রাণবন্ত হবে।”
আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় বাহিয়ার সালভাদর শহরে ম্যাচটি হবে।