‘দুর্দান্ত মুহূর্তের’ সাক্ষী ম্যানইউ কোচ

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরতি পর্বে পিএসজিকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছানোয় শিষ্যদের প্রশংসা করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ উলে গুনার সুলশার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2019, 11:33 AM
Updated : 7 March 2019, 12:12 PM

বুধবার প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে পিএসজির মাঠে ৩-১ গোলে জয় পায় ইউনাইটেড। প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারায় দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে এক গোল বেশি করে পরের রাউন্ডের টিকেট পায় সুলশারের দল।

ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ বা তার চেয়ে বেশি ব্যবধানে হারের পর পরের রাউন্ডে ওঠার কীর্তি গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ইউনাইটেডের ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচের যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোল করা সুলশার প্রিয় ক্লাবের কোচ হিসেবে আবারও এমন মুহূর্ত উপভোগ করায় নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

“আমি দুর্দান্ত কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি। ফুটবল এমন মুহূর্ত আপনাকে উপহার দেয়।”

“যখন আপনি একজন কোচ বা ম্যানেজার হিসেবে আপনার খেলোয়াড় ও সহকর্মীদের নিয়ে এমন কিছু করাবেন, তা সত্যি বিশেষ কিছু।”

“মালিক পক্ষ, সাবেক কোচ, সাবেক খেলোয়াড় সবাইকে নিয়ে পুরো ক্লাবকে একসঙ্গে দেখা, ড্রেসিংরুমের অবস্থাটা ছিল একেবারে অবিশ্বাস্য। অসাধারণ একটা পরিবেশ।”

জোসে মরিনিয়োর ব্যর্থতায় গত বছরের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পাওয়া ৪৬ বছর বয়সী সুলশার নিজের ভবিষ্যতের প্রশ্নে অবশ্য দিয়েছেন কৌশলী উত্তর।

“প্রতিটা দিন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আমি কাজটা করে যাচ্ছি। আর দেখাই যাক এটা আমাদের কোথায় নিয়ে যায়।”

“যেসব খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ আমি পেয়েছি, তাদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে। যত দিনের জন্যই দায়িত্ব পাই, আমি কাজটা উপভোগ করব।”

“যদি এটা আর দুই বা তিন মাস হয়, অথবা যত লম্বাই হোক, আমি এটা উপভোগ করব, হাসি মুখে কাজ করব।”