প্যারিসে বুধবার ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে হারে লিভারপুল। ত্রয়োদশ মিনিটে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুয়ান বের্নাতের গোলে পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। স্পট কিক থেকে বিরতির আগে ব্যবধান কমান লিভারপুলের জেমস মিলনার।
এই হারে প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে ওঠার পথটা কঠিন হয়ে গেছে গতবারের রানার্সআপদের জন্য। শেষ ষোলোতে পা রাখতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নাপোলিকে হারাতেই হবে ক্লপের শিষ্যদের।
লিভারপুলের ছয় খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্লপ। এছাড়া প্রথমার্ধের শেষ দিকে সাদিও মানেকে ডি-বক্সে আনহেল দি মারিয়ার ফেলে দেওয়ার ঘটনায় রেফারি শুরুতেই পেনাল্টির বাঁশি না বাজিয়ে কর্নারের ইঙ্গিত করেছিলেন বলে মনে হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ও উল্লেখ করেন জার্মান এই কোচ।
“আমার সব সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি উন্মুক্ত এবং আমরা একটি গোল করলেই ম্যাচে থাকব। আমি জানি না কে, তবে রেফারিকে কারো বোঝাতে হয়েছিল এবং এরপর ৪৫তম মিনিটে আমরা গোলটা করি।”
জো গোমেজকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করা পিএসজির মার্কো ভেরাত্তিকে হলুদ কার্ডের পরিবর্তে লাল কার্ড দেখানো উচিত ছিল বলে মনে করেন ক্লপ।
“আপনারা যা খুশি লেখেন বা ভাবেন, আমি পরোয়া করি না। আমি খুব ভালো করেই এটা দেখেছি। আর এটা অন্য ৫০০ হলুদ কার্ডের মতো ছিল না।”
রাশিয়া বিশ্বকাপে নাটুকেপনার জন্য প্রচণ্ড সমালোচিত হয়েছিলেন নেইমার। প্যারিসের এই ম্যাচেও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আচরণে একদমই সন্তুষ্ট নন লিভারপুল কোচ। তিনি অবশ্য পিএসজির অন্য খেলোয়াড়দেরও সমালোচনা করেছেন।
“এটা ছিল পিএসজির চালাকি, বিশেষ করে নেইমারের। কিন্তু অন্য সব খেলোয়াড়রাও এমনভাবে পড়ে যাচ্ছিল যেন সত্যি খুব গুরুতর কিছু। আমরাও শান্ত থাকতে পারিনি। আমরা আগ্রাসী ছিলাম আর দুর্ভাগ্যবশত নেতিবাচক আগ্রাসন ফুটবলকে সাহায্য করে না। আমরা বরং হতাশ হয়ে পড়ি এবং রেগে গিয়েছিলাম।”
“আপনি যদি পড়ে গিয়ে ভাব করেন যে আপনি মারা যাচ্ছেন, আর পরক্ষণেই উঠে দাঁড়ান … এটা অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ।”
“কিন্তু আমাদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, সেটাই আমাদের কাজ। যদি রেফারি সেটা ঘটতে দেন, তবে আমাদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।”
পাঁচ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে পিএসজি। ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নাপোলি। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লিভারপুল।