সেভিয়াকে উড়িয়ে শীর্ষে বার্সা

সেভিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খুব বেশি সময় মাঠে থাকতে পারেননি লিওনেল মেসি। তবে যতটুকু সময় ছিলেন তার মধ্যেই গোল করে ও করিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি। তাতে দাপুটে এক জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা।  

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2018, 08:42 PM
Updated : 20 Oct 2018, 10:34 PM

কাম্প নউয়ে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে কাতালান ক্লাবটি। লিগে চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল এরনেস্তো ভালভেরদের দল।

জয়ের পথে ফেরার আনন্দ থাকলেও বড় এক দুশ্চিন্তা সঙ্গী হয়েছে বার্সেলোনার। আগামী বুধবার তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলবে। আর আগামী ২৮ অক্টোবর ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এমন সময়ে মেসির চোট নিশ্চিতভাবেই ভাবনায় ফেলে দিয়েছে দলটিকে।

ছন্দ খুঁজে ফেরা বার্সেলোনার ম্যাচের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ১২ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা।

দ্বিতীয় মিনিটে মেসির দারুণ রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে ডান পায়ের উঁচু কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপে কৌতিনিয়ো।

আর দ্বাদশ মিনিটে বলতে গেলে একক নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে লুইস সুয়ারেসের বাড়ানো বল ধরে অনেকখানি এগিয়ে গিয়ে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। লিগে তার গোল হলো সাতটি।

এই দুই গোলের মাঝে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গিলের্মে আরানার শট পোস্টে বাধা পায়।

চার মিনিট পর বড় ধাক্কাটা খায় বার্সেলোনা। বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে গিয়ে ডান হাতে ব্যথা পান মেসি। প্রথমে মাঠে পরে সাইডলাইনে বেশ কিছুক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসা চলে তার। শেষ পর্যন্ত হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে বেঞ্চে চলে যান তিনি। উসমান দেম্বেলেকে বদলি নামান কোচ।

অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে বার্সেলোনার খেলায় কিছুটা গতি কমে। তারপরও প্রথমার্ধের শেষদিকে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু সুয়ারেস, দেম্বেলে, ইভান রাকিতিচদের ব্যর্থতায় ব্যবধান বাড়েনি।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে সুয়ারেসের শট লাগে পোস্টে। ৬১তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে জাল অক্ষত রাখেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। আন্দ্রে সিলভার হেড ঠেকানোর পর ফিরতি বলে ফ্রাঙ্কো ভাসকেসের শট রুখে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।

৬৩তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেস। তিনি নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পেয়েছিল বার্সেলোনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।

৭৯তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে পাবলো সারাবিয়ার শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ালে ম্যাচে ফেরার আশা জাগে অতিথিদের।

খানিক পর আবারও ‘ডাবল সেভ’ করেন টের স্টেগেন। সারাবিয়ার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর ফিরতি বলে বেন ইয়েদেরের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন জার্মান গোলরক্ষক।

সেভিয়ার লড়াইয়ে ফেরার আশা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮৮তম মিনিটে জোরালো ভলিতে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার রাকিতিচ। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে কলম্বিয়ার মিডফিল্ডার লুকাস মুরিয়েলের শটে শুধু আরেক দফা ব্যবধানই কমে।

শীর্ষে ওঠা বার্সেলোনার পয়েন্ট নয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও তিন ড্রয়ে ১৮।

১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আলাভেস। তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া সেভিয়ার পয়েন্ট ১৬।

ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করা আতলেতিকো মাদ্রিদ সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে।

দিনের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে লেভান্তের কাছে ২-১ গোলে হারা রিয়াল মাদ্রিদ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে পঞ্চম স্থানে।