বুধবার দুপুরে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে লেবাননকে ৮-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ।
দলের জয়ে তহুরা খাতুন, সাজেদা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়র জোড়া গোল করেন। বাকি দুই করেন আনাই মোগিনি ও রোজিনা আক্তার।
একই দিন পরের ম্যাচে বাহরাইনকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ভিয়েতনাম। ২ ম্যাচে ৬ করে পয়েন্ট করে পাওয়া বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের গোল পার্থক্য (+১৮) ও মোট গোলও (১৮) সমান। তিন ম্যাচ খেলা লেবাননের পয়েন্টও ৬।
বাহরাইনকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আমিরাতকে ৬-৩ ব্যবধানে হারানো লেবানন প্রথম হারের স্বাদ পেল। বাহরাইনকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাছাই শুরু করে বাংলাদেশ।
১৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন সাজেদা। গোলরক্ষককে লক্ষ্য করে বাড়ানো ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের গায়ে মারেন তিনি।
পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা। ডি-বক্সের জটলার মধ্যে থেকে সাজেদার বাড়ানো বলে শট নেন তহুরা। বল গোলরক্ষকের গায়ে লাগার পর প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়।
২৩তম মিনিটে আঁখি খাতুনের লম্বা করে বাড়ানো বল তহুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। তিন মিনিট পর আঁখির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক দিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আনাই।
৪০তম মিনিটে আঁখির বাড়ানো বল ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে জালে জড়িয়ে দেন সাজেদা।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়ে লেবাননকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের ভুল থেকে পাওয়া বল বাঁ দিক দিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
৭০তম মিনিটে গোলমুখ থেকে ইলামনির শট ফেরান লেবানন গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর ইলামনির বাড়ানো বল প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে স্কোরলাইন ৮-০ করেন রোজিনা।
শেষ দিকে হ্যাটট্রিকের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাজেদা। সুলতানার শট গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোললাইন পেরুনোর আগে ইলামনি পা ছোঁয়ালেও বল বাইরে দিয়ে যাওয়ায় ব্যবধান আর বাড়েনি।
আগামী শুক্রবার ‘এফ’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।