কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুক্রবার চতুর্থ ও শেষ রাউন্ডে চারটি বার্ডি ও দুটি বোগি করেন জামাল। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে ১৪ শট কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন তিনি।
আগের তিন রাউন্ডের প্রতিটিতে পারের চেয়ে চার শট করে কম খেলেছিলেন জামাল। চতুর্থ রাউন্ডে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি।
৫০ লাখ টাকা প্রাইজমানির এই আসরে পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জাপানের হিগা কাজুকি।
চতুর্থ রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি, দুটি বোগি ও একটি ডাবল বোগি করেন সজীব আলি। চারটি বার্ডি ও একটি বোগি করেন সিদ্দিকুর। দুজনেই পারের চেয়ে নয় শট কম খেলে যৌথভাবে ষষ্ঠ হয়েছেন।
পারের চেয়ে আট শট কম খেলে যৌথভাবে অষ্টম হয়েছেন মোহাম্মদ নাজিম। গত তিন রাউন্ডে নাজিমের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা দুলাল হোসেন ও শাখাওয়াত হোসেন সোহেল হতাশ করেছেন শেষ রাউন্ডে। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে ছয় শট কম খেলে যৌথভাবে ১২তম হয়েছে দুজনে।
“আমি হতাশ না। আমার জেতার কথা ছিল। ১৪ নম্বর হোলে গিয়ে আমি আসলে খারাপ করলাম; বগি মারলাম। ও বার্ডি মেরে এগিয়ে গেল। আসলে ও প্রথম রাউন্ডে পারের চেয়ে ১০ শট কম খেলেছিল; এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল।”
“অনেক দিন পর ভালো খেললাম। কোথাও ভালো খেলতে পারছিলাম না। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলাম। আশা করি সামনে এশিয়ান ট্যুরে ভালো ফল করতে পারব।”
ষষ্ঠ হলেও হতাশ নন সিদ্দিকুর। আগামী মে মাসের বাংলাদেশ ওপেনের জন্য প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে বলেই মনে করেন ২০১৩ সালে সর্বশেষ এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জেতা এই গলফার।
“আমি হতাশ নই। মন খারাপের কিছু নেই। বাংলাদেশ ওপেনের জন্য ভালো প্র্যাকটিস হলো। যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলো শুধরে নিতে পারব। আশা করি, পরের টুর্নামেন্টে ভালো করব।”