বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে ২-০ গোলে জিতে শেখ জামাল।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে দুই দলই বল পায়ে রাখার দিকে বেশি মনোযোগী ছিল। আক্রমণের ধার ছিল না কারও। ৩৮তম মিনিটে জাহিদের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আসা শেখ জামালের।
‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেরা আটে আসা ব্রাদার্সের বলার মতো আক্রমণ যোগ করা সময়ে। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে ওঠা মিডফিল্ডার মিথুন ভুইয়ার শট মোহাম্মদ নাইম ফিস্ট করে ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধে গুছিয়ে ওঠা শেখ জামাল ৫৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায়। দিদারুল ইসলামের ক্রসে আবসারের প্রথম প্রচেষ্টা ফিস্ট করে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি সুজন চৌধূরী। ফিরতি শটে দলকে এগিয়ে নেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফিরতে শেখ জামালের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে স্বাধীনতা কাপের ২০০৫ সালের রানার্সআপ ব্রাদার্স। ৭৩তম মিনিটে ফরোয়ার্ড আরিফুল ইসলাম শান্তর জোরালো শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৭৯তম মিনিটে সুজনের দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারেনি শেখ জামাল। ডি বক্সের ভেতর থেকে আবসারের হেড ফেরানোর পর বদলি মিডফিল্ডার রকিব সরকারের ফিরতি হেডও আটকে দেন এই গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর গোছালো আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ২০১৩ সালের স্বাধীনতা কাপের রানার্সআপরা। মোহাম্মদ আলি হোসেনের থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনিসুর আলম সুইটের কাট ব্যাকে জাহিদের প্লেসিং শট চোখের পলকে জালে জড়ালে শেখ জামালের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।