বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩-০ গোলে জিতে বাংলাদেশের মেয়েরা। আগেই ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশ ও ভারত আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে ফের মুখোমুখি হবে।
আগের দুই ম্যাচে ১৩ গোল করা ভারত প্রতিযোগিতায় এই প্রথম গোল হজমের সঙ্গে প্রথম হারের স্বাদও পেল। অন্যদিকে নিজেদের জাল অক্ষত রেখে প্রতিপক্ষের জালে তিন ম্যাচে মোট ১২টি গোল করল বাংলাদেশ।
তহুরা খাতুন, আনুচিং মোগিনি ও মার্জিয়ার জায়গায় ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন, মিডফিল্ডার শামসুন্নাহার ও ঋতুপর্ণা চাকমা-এই তিন পরিবর্তন এনে ভারতের বিপক্ষে শুরুর একাদশ সাজান রব্বানী।
ম্যাচের শুরু থেকে ভারতের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে বাংলাদেশ। পঞ্চম মিনিটে আঁখি খাতুনের শট বাইরের জাল কাঁপালে এগিয়ে যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের।
একটু পর ডান দিক থেকে সাজেদার বাড়ানো ক্রস ছোট ডি-বক্সের মধ্যে পেয়ে যান ঋতুপর্ণা। কিন্তু এই মিডফিল্ডারের তাড়াহুড়ো করে নেওয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। দ্বাদশ মিনিটে শামসুন্নাহারের ক্রসে গোলমুখে থেকে সাজেদা ক্রসবার উঁচিয়ে শট নিয়ে বাংলাদেশের হতাশা আরও বাড়ে।
৩৫তম মিনিটে মনিকার ডিফেন্স চেরা পাস ধরে আক্রমণে ওঠা আনুচিং গোলরক্ষক বরাবর শট নেন। পরের মিনিটে মনিকার বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে কাটানোর পর ফাঁকা পোস্টে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ এই ফরোয়ার্ড। ছোট ডি বক্সের একটু ওপর থেকে তার নেওয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্পট কিক থেকে ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বাংলাদেশ। ডি বক্সের মধ্যে পাকপি দেবী মিডফিল্ডার শামসুন্নাহারকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভারতকে কোণঠাসা করে রাখে বাংলাদেশ। ৫১তম মিনিটে ঋতুপর্নার ক্রসে আনুচিং গোলমুখ থেকে সুযোগ নষ্ট করেন। দুই মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করে নেয় বাংলাদেশ। আনাই মোগিনির থ্রু পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মনিকা।
গ্যালারিতে ছিল সমর্থকদের কলরব। স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাড়ির ছাদে উঠেও মারিয়াদের খেলা উপভোগ করেছেন সমর্থকরা।