দুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন রহমতউল্লাহ। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছিলেন নারায়ণগঞ্জে। পরে আবার অসুস্থ বোধ করলে আনা হয় হাসপাতালে। কিন্তু আবাহনী-মোহামেডানে খেলা এই ডিফেন্ডার আর হাসপাতাল থেকে ফেরেননি। তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
১৯৭৯ সালে উদিতি ক্লাব দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগ হকিতে খেলা শুরু রহমতউল্লাহর। পরে সাধারণ বীমা ছাড়াও খেলেছেন ঘরোয়া হকির দুই ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান ও আবাহনীতে। ১৯৯৫ সাল ক্লাব হকিকে বিদায় জানান তিনি।
১৯৮৪ জাতীয় যুব দলে খেলার শুরুর চার পর বছর জাতীয় দলে ডাক পান। ৯১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপের মতো একাধিক আন্তর্জাতিক আসরে। হকিস্টিক তুলে রাখার পর হকির সঙ্গেই ছিলেন রহমতউল্লাহ। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন সহ-সভাপতি।
প্রিয় সতীর্থের হঠাৎ না ফেরার দেশে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় দলের বর্তমান কোচ মাহবুব হারুন।
“রহমত ভাই একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তার সঙ্গে এক সঙ্গে খেলেছি। খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে ভাল মানুষ ছিলেন। তার হঠাৎ চলে যাওয়াটা সত্যিই হৃদয়বিদারক।”
রহমতউল্লাহর মৃত্যুতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) আবাহনী ক্লাব লিমিটেড, সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবার ও ক্রীড়ালেখক সমিতি (বিএসপিএ), বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ (বিসিবি) শোক প্রকাশ করেছে।