বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন দলবদলের শেষ দিনে খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করায় গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতা আবাহনী। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব যেখানে সমর্থক ও খেলোয়াড়দের নিয়ে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সারে, সেখানে আবাহনী দল গুছিয়েছে রীতিবিরুদ্ধভাবে; আড়ালে।
গত মৌসুমে আবাহনীর দুই শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান রাখা হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম, জুয়েল রানা, তপু বর্মণ ও শাকিল আহমেদ এবার যোগ দিয়েছেন লিগের নবাগত দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে।
এবার আবাহনী নতুন সাত ফুটবলারকে দলে টেনেছে। তার মধ্যে নাসিরউদ্দিন চৌধূরী, রায়হান হোসেন, ইয়ামিন মুন্না, সোহেল রানা ও রুবেল মিয়া এই পাঁচ জন চট্টগ্রাম আবাহনীর। ব্রাদার্স ইউনিয়ন থেকে ইমতিয়াজ সুলতান জিতু, রহমতগঞ্জের দিদারুল আলম যোগ দিয়েছেন লিগ শিরোপাধারীদের দলে।
গত মৌসুমে আবাহনীর লিগ শিরোপা জয়ে ১০ গোল করা ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক চুক্তি নবায়ন করেননি। প্রাণতোষের বিশ্বাস শেখ জামাল ধানমণ্ডির ক্লাবের হয়ে ৯ গোল করা ল্যান্ডিং ডারবো লি টাকের শূন্যতা পূরণ করবেন।
“শেখ জামাল থেকে ল্যান্ডিং এসেছে। গত মৌসুমে সে যেভাবে গোল করেছে, আশা করি, সামনের মৌসুমে আবাহনীর হয়েও তেমন করবে। লি টাকের শূন্যতা সে পূরণ করবে।”
২০১৩-১৪ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতা ঘরোয়া ফুটবলের আরেক শক্তিশালী দল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবও শেষ দিনে এসে ঘর গুছিয়েছে চুপিসারে। নতুনদের নিয়ে আশাবাদী এবারও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবে থেকে যাওয়া ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান।
“আমার মতে দলটা ভালই হয়েছে। এটা ঠিক যে, ওরকম তারকা খেলোয়াড় নেই এবার। গতবার যেমনটা ছিল। তবে ছোট ছোট ক্লাব থেকে অনেক খেলোয়াড় এসেছে। ওদেরকে যদি ঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, আশা করি ভাল একটা কিছু করা যাবে।
“এই (লিগের চ্যাম্পিয়ন) লক্ষ্য তো সবারই। আমরাও সে জন্য লড়াই করব।”
আবাহনী:
গোলকিপার: শহিদুল আলম, নাঈম মিয়া, সুলতান আহমেদ শাকিল, তিতুমীর চৌধূরী।
ডিফেন্ডার: নাসিরউদ্দিন চৌধূরী, ওয়ালী ফয়সাল, রায়হান হাসান, সামাদ ইউসুফ, মামুন মিয়া, ইয়ামিন আহমেদ, টুটুল হোসেন বাদশা, হাফিজুর রহমান।
মিডফিল্ডার: ইমন মাহমুদ, সোহেল রানা, প্রাণতোষ দাস, ইমতিয়াজ সুলতান জিতু, আতিকুর রহমান ফাহাদ, শহিদুল ইসলাম শাহেদ, আরাফাত হোসেন তাসিন।
ফরোয়ার্ড: এমেকা ডারলিংটন, ল্যান্ডিং ডারবো, রুবেল মিয়া, সাদ উদ্দিন, দিদারুল আলম, নাবীব নেওয়াজ জীবন, ফয়সাল আহমেদ শিটুল।
শেখ জামাল:
গোলকিপার: মিতুল হোসেইন, মোহাম্মদ নাঈম, সামিউল ইসলাম মাসুম, সুজন হোসেন।
ডিফেন্ডার: ইয়াসিন খান, কেষ্ট কুমার বোস, দিদারুল হক, খান মোহাম্মদ তারা, রফিকুর রহমান, আনিসুর আলম সুইট, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শ্যামল মিয়া, শাকিল আহমেদ।
মিডফিল্ডার: জাহিদ পারভেজ, হোসেন আলি, জাকির হোসেন জিকু, রাকিব সরকার, মাসুদ উদ্দিন, আরিফ হাওলাদার, ইমরান হোসেন রুবেল, মাজহারুল ইসলাম, সারোয়ার জাহান নিপু, মেজবাউল হক, ওমর ফারুক বাবু, সাইফুল ইসলাম তারেক, নুর রহমান।
ফরোয়ার্ড: জাভেদ খান, সোহেল মিয়া, নুরুল আবসার, এনামুল হক, সলোমন কিং, রাফায়েল ওডোইন, মোমোদু বাহ।