এ নিয়ে গ্রুপে টানা দুই ম্যাচ হারল আবাহনী। নিজেদের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের দল মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে এএফসি কাপে যাত্রা শুরু করেছিল দ্রাগো মামিচের দল। বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ২-১ গোলে শুরু করা মোহন বাগান এই প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো।
আগামী ১৮ এপ্রিল ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলবে আবাহনী।
চুক্তির জটিলতায় নির্ভরযোগ্য পাঁচ ফুটবলারকে হারানো আবাহনী ভারতে যায় নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফকে ছাড়া। তবে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ২১তম মিনিটে স্বাগতিকদের চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় আবাহনীই। ডান দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া নাবীব নেওয়াজ জীবনের কাট ব্যাক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ওয়েলসের ফরোয়ার্ড জোনাথন ডেভিড।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে মোহন বাগান। সনি নর্দের বাড়ানো বল বাঁ পায়ের শটে জালে জড়িয়ে দেন মোহন বাগানের জেজে লালপেখলুয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় মোহন বাগান। ইউসা কাতসুনির ছোট পাস থেকে শহিদুল আলম সোহেলের মাথার ওপর দিয়ে স্কোরলাইন ২-১ করেন বলবন্ত সিং।
৬২তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত আবাহনী। কিন্তু জোনাথনের গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে এমেকা ডারলিংটন, ইয়াসিন খানের কেউই দরকারি টোকাটা দিতে পারেননি বলে।
দ্বিতীয়ার্ধের বাকিটা সময়ে মোহন বাগানের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে আবাহনী। কিন্তু গোল অধরাই থেকে যায়। ৭৭তম মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত স্বাগতিকরাও। বলবন্তের দূরের পোস্টে নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান সোহেল।
৮৭তম মিনিটে আবাহনীর ম্যাচে ফেরার আশা শেষ করে দেন সনি নর্দে। বলবন্তের কাছ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে জালে পাঠান বাংলাদশের ঘরোয়া ফুটবলে এর আগে শেখ জামাল ধানমণ্ডির হয়ে খেলা হাইতির এই ফরোয়ার্ড।