পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা একমাত্রা সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে কদিন আগে মিরপুরে গিয়েছিলেন সিদ্দিকুর। জাপানের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় চলা এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মাহাবুবুল আলম মিলন নামের এক সংগঠক জানালেন, সিদ্দিকুরের আমন্ত্রণে পথশিশুদের নিয়ে কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে এসেছেন তারা।
পিয়া নামের প্রথম শ্রেণিতে পড়া এক ছাত্রী ভাঙা ভাঙা কথায় জানাল তার আনন্দের কথা।
“গলফ তো বুঝি না। সিদ্দিক ভাই বলেছেন খেলা দেখতে আসতে, তাই এসেছি। এখানে এসে ভালো লাগছে। এমন জায়গাতে আগে কখনও আসিনি। আমি চাই উনি জিতুন।”
পিয়ার চাওয়া পূরণের সুযোগ এখনও আছে। তৃতীয় রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি ও তিনটি বোগি করা সিদ্দিকুর সব মিলিয়ে পারের চেয়ে আট শট কম খেলে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া রাকিব এতসব হিসেবের মধ্যে নেই। ‘সিদ্দিকুর ভাই’ ভালো করলেই খুশি হবে সে।
“উনি আমাদের ওখানে গিয়েছিলেন। অনেক গল্প করেছেন। তার গল্পগুলো আমাদের খুব ভালো লেগেছে। এখানে এসে তার খেলা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আশা করি, সিদ্দিক ভাই ভালো করবেন।”
পথে পথে বেড়ানো এই শিশুদের একটু আনন্দ দিতে পেরে অন্যরকম তৃপ্তি অনুভব করছেন সিদ্দিকুরও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় পিয়া-রাকিবদের সঙ্গে কাটানো সময়ের অভিজ্ঞতাটা জানালেন।
“কদিন আগেই আমি ওদের ওখানে গিয়েছিলাম। ওরা আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছে। কিভাবে গলফে এলাম, বড় হলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। আগে কখনও এরকম অভিজ্ঞতা হয়নি। অভিজ্ঞতাটা ছিল সত্যিই অন্যরকম। খুবই ভালো লাগার অভিজ্ঞতা।”
“হয়ত ওরা আগে আমার গল্প কারো কাছ থেকে শুনেছিল। এ কারণেই বলেছিল, আমাকে দেখে দারুণ অনুপ্রাণিত। সেদিন ওদের এখানে আসার জন্য বলেছিলাম। এই যে শিশুরা এখানে এসেছে, এটা আসলেই অন্যরকম আনন্দের ব্যাপার।”