মঙ্গলবার জুরিখে ফিফার সভায় নতুন সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়।
নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী গ্রুপ পর্বে তিনটি করে দল নিয়ে ১৬টি গ্রুপ হবে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরের নকআউট রাউন্ডে উঠবে।
নতুন ফরম্যাটে টুর্নামেন্টে ম্যাচের সংখ্যা ৬৪টি থেকে বেড়ে ৮০টি হবে। তবে চ্যাম্পিয়ন দলকে মাত্র সাতটি ম্যাচই খেলতে হবে।
অংশগ্রহণকারী দল ও ম্যাচের সংখ্যা বাড়লেও ইউরোপের প্রভাবশালী ক্লাবগুলোর আপত্তির কথা মাথায় রেখে টুর্নামেন্ট ৩২ দিনের মধ্যে শেষ করা হবে।
সবশেষ ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে দল বাড়ানো হয়েছিল। সেবার অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৪ থেকে ৩২ করা হয়।
আগামী বিশ্বকাপ ২০১৮ সালে রাশিয়ায় এবং পরের আসর ২০২২ সালে কাতারে হবে।
এর আগে ইনফান্তিনো জানিয়েছিলেন, ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনার পক্ষে বিশ্বজুড়ে ফুটবল ফেডারেশনগুলোর সমর্থন পেয়েছেন। তবে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা (ইসিএ) বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
ফিফা প্রধান তার নির্বাচনী ইশতেহারে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মতে, বিশ্ব জুড়ে ফুটবলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার স্বার্থেই বিশ্বকাপে আরও বেশি দেশের অংশ নেওয়ার সুযোগ করা দরকার। কারণ কোনো দেশ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে সেই দেশের ফুটবলে জোয়ার আসবে।