লা লিগায় রোববার রাতে ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে কাতালান ক্লাবটি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর নিকোলা সানসোনের গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা।
ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতার পাশাপাশি বার্সেলোনার ভাগ্যও সহায় ছিল না। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তও কম দায়ী নয়। দুবার নিশ্চিত পেনাল্টি পেতে পারতো গত বৃহস্পতিবার কোপা দেল রেতে আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে ২-১ গোলে হারা দলটি।
বার্সেলোনা প্রথম সুযোগ পায় ২৪তম মিনিটে; কিন্তু নেইমারের জোরালো শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়। আট মিনিট পর লুইস সুয়ারেসের ক্রস ছয় গজ বক্সে পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। মাঝমাঠের কাছ থেকে পাতো বল পায়ে ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে জেরার্দ পিকে ও হাভিয়ের মাসচেরানোর মধ্যে দিয়ে ডি বক্সে ডান দিকে পাস দেন। আর কোনাকুনি শটে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড সানসোনে।
৭৩তম মিনিটে মেসির শটে বাধা দিতে হাত বাড়িয়ে দেন ব্রুনো। বল তার হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে অতিথিরা; কিন্তু রেফারির সাড়া মেলেনি। এর কিছুক্ষণ পরেই আর্জেন্টাইন তারকার কোনাকুনি শট পোস্টে বাধা পায়।
পাঁচ মিনিট পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ব্রুনো নিজেদের ডি বক্সে পড়ে গেলে আবারও বলে তার হাত লাগে। ফের জোরালো আবেদন করে মেসিরা; কিন্ত রেফারি খেলা চালিয়ে যান!
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অবশেষে মেসি জাদু- ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে দারুণ ফ্রি-কিকে লিগে নিজের ত্রয়োদশ গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।
এই ড্রয়ের পর বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ১৭ ম্যাচে ৩৫। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেভিয়া।
শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪০, এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।
৩১ পয়েন্ট নিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে থাকা ভিয়ারিয়ালের পয়েন্ট ৩০।