নাটকীয় জয়ে উয়েফা সুপার কাপ রিয়ালের

নতুন মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত হলো রিয়াল মাদ্রিদের। নিজেদের শক্তির গভীরতা দেখিয়ে নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা হারিয়েছে টানা তিনবারের ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়াকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2016, 09:32 PM
Updated : 9 August 2016, 11:17 PM

উয়েফা সুপার কাপে শুরুতে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল এক সময়ে হারতে বসেছিল। স্পেনের সফলতম দলটি সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় সের্হিও রামোসের নাটকীয় গোলে। অতিরিক্ত সময়ে দানিয়েল কারবাহালের লক্ষ্যভেদে শিরোপার হাসিতেই মাঠ ছাড়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।

নরওয়ের ত্রোন্দহাইমে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জেতে রিয়াল।

প্রথমার্ধে মার্কো আসেনসিওর গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর সেভিয়া সমতা ফেরায় ফ্রাঙ্কো ভাসকেসের নৈপুণ্যে। দ্বিতীয়ার্ধে ইয়েভেন কোনোপ্লিয়াঙ্কার গোলে এগিয়ে যায় হোর্হে সামপাওলির শিষ্যরা। এবার সমতা আনে রিয়াল, পরে এগিয়েও যায়।

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল, টনি ক্রুস, পেপে ও কেইলর নাভাস আগে থেকেই দলে ছিলেন না। ‘বিবিসি’ আক্রমণভাগের একমাত্র তারকা করিম বেনজেমা ও মাঝমাঠের নিয়মিত সদস্য লুকা মদ্রিচ ফিট থাকলেও তাদের বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ সাজান কোচ জিদান।

তারপরও ইসকো, আলভারো মোরাতা, মার্সেলোদের নৈপুণ্যে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি করে রিয়াল। তবে এগিয়ে যেতে ২১তম মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাদের।

প্রথম সত্যিকারের সুযোগকে একক নৈপুণ্যে গোলে পরিণত করেন আসেনসিও। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা এক বিদ্যুৎ গতির শটে বাঁ পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ান রিয়ালের হয়ে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা এই তরুণ খেলোয়াড়।

৩০তম মিনিটে সমতা আনতে পারতো সেভিয়া; তবে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার দানিয়েল কারিকোর জোরালো দূরপাল্লার শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক কিকো কাসিয়া।

ইউরোপা লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কদিন আগে পালের্মো থেকে আসা আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ভাসকেস ৪১তম মিনিটে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ালে ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

৬২তম মিনিটে মোরাতার বদলি নামেন ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা। কিছুক্ষণ পর ইসকোর জায়গায় ক্রোয়েশিয়ার মদ্রিচকে নামান জিদান।

৭০তম মিনিটে রিয়াল অধিনায়ক রামোস নিজেদের ডি বক্সে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো ভিয়েতোকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে বল জালে পাঠান কিছুক্ষণ আগেই বদলি হিসেবে নামা ইউক্রেনের মিডফিল্ডার কোনোপ্লিয়াঙ্কা।

নির্ধারিত সময়ের বাকি সময়ে সেভিয়া ব্যবধান ধরে রাখলে রিয়ালের শিরোপা আশা মলিন হতে থাকে। কিন্তু নাটকীয়তার তখনও বাকি; যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে দারুণ হেডে বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান রামোস।

অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় সেভিয়া; দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফরাসি ডিফেন্ডার টিমোথি।

১০ জনের দলে পরিণত হওয়া সেভিয়াকে চেপে ধরে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণে তারা জয়সূচক গোলের দেখা পায় ১১৯তম মিনিটে। ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন কারবাহাল।