ভিনিসিউস ‘বিশ্বের সেরা’, এরপর ‘বেলিংহ্যাম, রদ্রিগো, ক্রুস, ভালভের্দে, কামাভিঙ্গা’

নিজের দলের এই ৬ জনকে বিশ্বের সেরা ৬ ফুটবলার মনে করেন রেয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2024, 06:03 AM
Updated : 11 Feb 2024, 06:39 AM

ভিনিসিউস জুনিয়র যখন ছন্দে থাকেন, তখন তার চেয়ে ভালো ফুটবলার গোটা বিশ্বে আর দেখেন না কার্লো আনচেলত্তি। তার চোখে বর্তমানের বিশ্বের সেরা ফুটবলার ফর্মে থাকা ভিনিসিউস। শুধু এটুকুই নয়, রেয়াল মাদ্রিদ কোচের মতে, পরের ৫ বিশ্বসেরা ফুটবলারও খেলেন তার দলেই। 

প্রসঙ্গ যদিও ছিল কিলিয়ান এমবাপে। পিএসজির এই ফরোয়ার্ড রেয়াল মাদ্রিদে আসবেন কি না, সেই জল্পনা আবারও শুরু হয়েছে কিছুদিন ধরে। লা লিগায় শনিবার জিরোনার বিপক্ষে রেয়ালের বড় জয়ের পর আনচেলত্তির কাছেও জানতে চাওয়া হলো ফরাসি তারকার রেয়ালে আসার গুঞ্জন নিয়ে। কিন্তু নিজ দলের বাইরের কাউকে নিয়ে কথা বলতেই আগ্রহী নন রেয়াল কোচ। 

“সে তো অন্য দলে খেলে। আমাদের দলেই তো বিশ্বের সেরা ফুটবলার আছে। সে (ভিনিসিউস) সেরা মানের ফুটবলার। সে যখন এরকম খেলে এবং এই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে, সে তখন বিশ্বের সেরা ফুটবলার। আমার ব্যক্তিগত অভিমত এটা।” 

ভিনিসিউস যদি বিশ্বের সেরা হন, তাহলে দ্বিতীয় সেরা কে? শুধু একজন নন, আনচেলত্তি ঝটপট বলে দিলেন পরের সেরা ৫ জনের নাম, “বেলিংহ্যাম (দ্বিতীয় সেরা), রদ্রিগো তৃতীয়। চতুর্থ হলো ক্রুস, এরপর ভালভের্দে, কামাভিঙ্গা। আজকে রেয়াল মাদ্রিদের বেঞ্চে থাকা ছিল খুবই স্বস্তিদায়ক।” 

জিরোনার বিপক্ষে ম্যাচে অসাধারণ এক গোলে রেয়ালকে এগিয়ে নেন ভিনিসিউস। বাঁ দিক থেকে বল পেয়ে একটু সামনে এগিয়ে হুট করেই বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় দূরের পোস্ট দিয়ে। 

পরে জোড়া গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম, একটি গোল করেন রদ্রিগো। লিগ শিরোপার পথে আপাতত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে থাকা জিরোনাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে রেয়াল। হোসেলু পেনাল্টিতে সুযোগ হাতছাড়া না করলে ব্যবধান বড় হতে পারত আরও। 

বেলিংহ্যাম দুটি গোল করলেও ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলে ম্যাচের সেরা হন ভিনিসিউস। ২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান তারকা রেয়াল মাদ্রিদ টিভিকে শোনালেন পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তির কথা। 

“কোচ আমাদেরকে যা করতে বলেছেন, সবই করেছি আমরা। এই দল যখন চায় এভাবে খেলবে, তখন আমাদেরকে হারানো কঠিন।” 

“সাধারণত বক্সের বাইরে থেকে খুব একটা শট নেই না আমি। তবে আজকে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম এবং ভালোভাবেই কাজে লেগে গেছে তা।” 

দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তির ছোঁয়া ছিল কোচ আনচেলত্তির কণ্ঠেও। একের পর এক ফুটবলারের চোটে ভাঙাচোরা দল নিয়েই কাজ সারতে হচ্ছে তাকে। বিশেষ করে রক্ষণভাগ চলছে জোড়াতালি দিয়ে। এদের মিলিতাও, ডাভিড আলাবা, নাচো ফের্নান্দেস, আন্টোনিও রুডিগার ছিলেন না। সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলেন অহেলিয়া চুয়ামেনি, যিনি মূলত মিডফিল্ডার এবং দানি কার্ভাহাল, যিনি আদতে রাইট ব্যাক। 

কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে এসবের প্রভাব পড়েনি একটুও। বরং চোট সমস্যার কারণে দল আরও ভালো করতে উজ্জীবিত হয়েছে বলে মনে করেন কোচ, “মৌসুমের সেরা ম্যাচ ছিল এটি আমাদের। সবাই খুব ভালো খেলেছে। চ্যালেঞ্জগুলোই দলের মান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।” 

এই জয়ে ২৪ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল রেয়াল। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এই মৌসুমের চমক জিরোনা। 

ম্যাচের আগে আনচেলত্তি বলেছিলেন, এই ম্যাচের ফলই শিরোপার নিয়ামক হবে না। এখন অবশ্য তিনি বলছেন অন্য কথা। তবে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে উচ্ছ্বাসে ভেসেও যাচ্ছেন না রেয়াল কোচ।

"শিরোপার পথে বড় এক পদক্ষেপ এটি। জিরোনা খুবই ভালো দল। প্রতিপক্ষের মাঠে এবার তারা একদমই হারেনি। এই জয় তাই আমাদের জন্য দারুণ।"

"ভালো অবস্থানে আছি আমরা, এখনও পর্যন্ত ভালো করছি। এগিয়েও আছি পয়েন্ট তালিকায়। তবে খুব বেশি এগিয়ে নেই আমরা। একটি ম্যাচ হারলে, আরেকটি ড্র হলেই ব্যবধান ঘুচে যাবে। কাজটা করে যেতে হবে আমাদের।"