জামাল-জিকোদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন সালাউদ্দিনের

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে উত্তরসূরিদের বিবর্ণ পারফরম্যান্সে হতাশ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2022, 12:54 PM
Updated : 1 Oct 2022, 12:54 PM

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে তবু কষ্টের জয় মিলেছিল; নেপাল ম্যাচের হারে সেই আনন্দ মুছে যেতে দেরি হয়নি। কাঠমান্ডুতে জামাল-জিকোদের বিবর্ণ পারফরম্যান্সে ভীষণ হতাশ কাজী সালাউদ্দিন। এমনকি জাতীয় দলের প্রতি খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাফুফে সভাপতি।

২০২২-২৩ মৌসুমের সূচি নিয়ে শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে বৈঠকে বসে কমিটি। সভা শেষে জাতীয় দলের সবশেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে হার নিয়ে ক্ষোভ জানান সম্প্রতি পেশাদার লিগ কমিটিরও হাল ধরা সালাউদ্দিন।

সেপ্টেম্বরের দুই প্রীতি ম্যাচে ভালো করে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে একটু উপরের দিকে আসার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কম্বোডিয়ার মাঠে ১-০ গোলের জয়ে লক্ষ্য পূরণের সম্ভাবনা জোরাল হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারে হাভিয়ের কাবরেরার দল।

এলোমেলো রক্ষণের কারণে অঞ্জন বিস্তার হ্যাটট্রিকে প্রথমার্ধে তিন গোল হজম করে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে সাজ্জাদ হোসেনের গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেলেও পরে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় হারের হতাশা সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। উত্তরসূরিদের এমন মলিন পারফরম্যান্সে তাই ক্ষোভ উগরে দিলেন সালাউদ্দিন।

“খেলোয়াড়দের কমিটমেন্ট নিয়ে সন্দেহ আছে আমার। এখন তো কোনো অজুহাত নেই, এখানে আমি বসা। ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি। কোচের সাথেও কথা বলব। এরপর আমার পর্যবেক্ষণ বলব আপনাদের। আমি এখনও কিছু বিশ্লেষণ করিনি।”

গত মৌসুমে চতুর্থ হওয়া সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব হঠাৎ করে লিগে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সিদ্ধান্ত থেকে দলটির সরে না আসায় হতাশ সালাউদ্দিন। নতুন মৌসুম সামনে রেখে ক্লাবগুলোর প্রতি ফিক্সিং ইস্যুতে কঠোর বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

“আমি হতাশ সাইফের ব্যাপারে। আমি জানি না (তারা কেন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে)। তবে যেভাবে আছে, এখন সেভাবেই চলবে।”

“বিপিএলে সবাই খেলতে চায়। আমি যা বলেছি, ক্লাবগুলোও সবাই তাই চায়। তাদের কিছু যৌক্তিক পয়েন্ট ছিল, সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। ফুটবল যাতে একটা পর্যায়ে যেতে পারে, সে চেষ্টা করছি। আমি দুইটা জিনিস ক্লাবগুলোকে বলেছি, ড্রাগস আর ফিক্সিং যেন না থাকে। প্রমাণ হলে কঠিন শাস্তি হবে।”