‘মাস্টারপ্ল্যান নেই বলেই জাবির প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে’

রোববার চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এই অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
Published : 24 March 2024, 01:53 PM
Updated : 24 March 2024, 01:53 PM

‘মাস্টারপ্ল্যান ছাড়াই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা।

রোববার চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এই অভিযোগ করেন নেতারা। দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

চার দফা দাবিগুলো হলো- সংগঠনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের (একাংশের) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে 'অবৈধ' বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা; বিভাগগুলোকে প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করা; মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রেরণ করা; নতুন হল খুলে দিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বিতাড়িত করা এবং মাদক সিন্ডিকেট নির্মূল করা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকটের মূলে রয়েছে মাস্টারপ্ল্যানবিহীন উন্নয়ন। মাস্টারপ্ল্যান নেই দেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি আজ ধ্বংসের মুখে। তাদের প্ল্যানবিহীন উন্নয়নের ফলে শীতকালে আগের মতো অতিথি পাখি দেখা যায় না। পরিপূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া আর কোনো ভবন বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে দেওয়া হবে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে নবীন বলেন, “দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করতে পারেনি। প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবেই অছাত্ররা এখনো হলে অবস্থান করছে। প্রশাসনকে অতি দ্রুত এই সংকট নিরসন করে সব বৈধ শিক্ষার্থীদের তাদের সিট বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ বলেন, “প্রশাসন বরাবরই আন্দোলনকারীদের প্রতি বৈরী আচরণ করছে। ছাত্র ইউনিয়নের দুজন নেতার বিরুদ্ধে প্রশাসন যে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে তা প্রহসন ছাড়া কিছুই না। আমরা চাই দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে আনা হোক।

“২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে (৫৩ ব্যাচে) ভর্তি ফি এর সঙ্গে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকা ধার্য্য করে প্রশাসন প্রমাণ করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়। প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত অর্থের বোঝা না দিয়ে নিয়মিতভাবে বিভাগগুলোকে তাদের প্রাপ্য অর্থ বুঝিতে দেওয়া। আশা করি, প্রশাসন এই অতিরিক্ত ফি এর বোঝা বাতিল করবে।”