এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রেখে মহাসড়ক ছাড়েন নেতা-কর্মীরা।
Published : 15 Feb 2024, 09:32 AM
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর মহাসড়ক অবরোধ করে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তার সমর্থক নেতা-কর্মীরা।
একটি কারখানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি ও অপহরণের মামলায় বুধবার রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন (৫০) কে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ জামান।
জাহাঙ্গীর আলম খোকন সিংগারদিঘী গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বুধবার রাতেই তার হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় অবরোধ করেন।
তারা সড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রীপুরের এসিল্যান্ড, শ্রীপুর থানা পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে পারেননি।
পরে ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রেখে মহাসড়ক ছাড়েন নেতা-কর্মীরা।
ওসি শাহ্ জামান বলেন, “মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনসহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে ফরচুন গ্রুপের কারখানার নির্মাণ কাজ বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি ও কর্মচারীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করা হয়।
“ওই কারখানার কেয়ারটেকার জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান রায়হান অভিযোগ করে বলেন, “আমার বাবাকে মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে। তারা প্রকৃত অপরাধীর বিচার দাবি করছে।”
‘খোকন চেয়ারম্যানের’ মুক্তি দাবি করে নেতা-কর্মীরা বলেন, তিনি চক্রান্তের শিকার। একটি অভিযোগে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই এক তরফা মামলা হয়েছে। এতে খোকন চেয়ারম্যান বিরোধী একটি পক্ষের উসকানি আছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলা হলে প্রকৃত ঘটনা সবাই জানতে পারত।