‘হত্যাকাণ্ড ধামাচাপার চেষ্টা’: ইউপি চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

মধ্যনগর ইউনিয়নের সুজন সরকারকে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2024, 03:41 PM
Updated : 7 March 2024, 03:41 PM

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় একটি হত্যার ঘটনা সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চার জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ততরা হলেন- উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জিব তালুকদার, একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রাণ গোপাল চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন চন্দ্র বর্মণ ও চামরদানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম নরু।

৫ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ কে এম আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয় বলে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা জানান।

এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইন) ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী কেন তাদের সংশ্লিষ্ট পদ থেকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব পত্রপ্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মধ্যনগর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সুজন সরকারকে চরম নির্যাতন করে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রায় ৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জিব তালুকদারসহ চার জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জাকির হোসেনকে নির্দেশ দেয়।

জেলা প্রশাসকের সুপারিশ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনস্বার্থে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের বর্তমান উপপরিচালক দেওয়ান কবীর হুমায়ূন বলেন, “আমি ঢাকা আছি। বরখাস্তের বিষয়টি আমার জানা নেই।“

বরখাস্তের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জিব তালুকদারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেন নাই।