শেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় শীত ও কুয়াশাসহ আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো কিছু জানা সম্ভব হয় না।
Published : 13 Dec 2023, 10:12 AM
শীত ও কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের জনজীবন। ঘন কুয়াশায় সামান্য দূরের জিনিসও ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। ফলে জেলার সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে কনকনে হাওয়া। সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। সব মিলিয়ে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গোটা জনপদের মানুষ।
মানুষ একটি সূর্যোজ্জ্বল দিনের প্রত্যাশা করলেও তা পূরণ হচ্ছে না। সকালে উত্তাপহীন সূর্য উঁকি দিলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
শেরপুর পৌরসভার শেখহাটি মহল্লার বাসিন্দা সুরুজ আলী বলেন, “কয়েকদিন ধইরা শীত ও কুয়াশার দাপট খুব বেশি। গরিব মানুষ শীতের বস্ত্রে অভাবে কষ্ট করতাছে। সেই সঙ্গে বাড়তাছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই।”
সদর উপজেলার গণইভারুয়াপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, “কয়েক দিন আগে বৃষ্টি অইছে। এরপর থাক্কাই পড়েছে শীত ও নামছে কুয়াশা। এতই কুয়াশা পড়ে প্রতিদিনই কাছের জিনিসও ঝাপসা নাগে। ”
তবে তীব্র ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন জেলার শ্রমজীবী মানুষ। শীত উপেক্ষা করে অনেকেই ছুটছেন কাজের সন্ধানে। রবি ফসলের মাঠে কাজ করছেন কৃষক।
অটোরিকশা চালক ফারুক বলেন, “কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। একেবারে সামনেও ঘন কুয়াশা কিছুই দেখা যায় না। শীতও পড়েছে।”
পথচারী মন্ডা মিয়া বলেন, “শীতে আমগরে খুবই কষ্ট অইতাছে সরকারের পক্ষ থেকে কম্বল-টম্বল দিলে আমগরে খুব উপকার অইত।”
শেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় শীত ও কুয়াশাসহ আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো কিছু জানা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে শীত মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, “এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে আরও শীতবস্ত্র চাওয়া হবে।”