কুমিল্লার মুরাদনগরে সাত বছর বয়সী এক ছাত্রকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় এক মাদ্রাসার শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার কুমিল্লার বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, রোববার সকালে উপজেলার উত্তর ত্রিশ দারুল কোরআন হিফজ মাদ্রাসায় ওই শিশুকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ করা হয় বলে তার বাবা মামলায় অভিযোগ করেন।
গ্রেপ্তার মনিরুল ইসলাম (২৩) মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের গান্দ্রা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ওই মাদ্রাসার ‘হিফজ’ বিভাগের শিক্ষক। আর ওই ছাত্র একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও নির্যাতিত শিশুর পরিবার জানায়, গত শনিবার সকালে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় মনিরুল ওই শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বাড়িতে আসলে শিশুকে অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে সে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়।
ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন বলে ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান।
নির্যাতিত শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, মনিরুল তার ছেলেকে ধর্ষণ করলে সে অসুস্থ হয়ে বাড়ি আসে। বাসায় এসে খাবার খেতে চাইছিল না, শুধু কান্নাকাটি করছিল।
“পরে আমরা জানতে চাইলে সে বলে – হুজুর এর আগেও দুইবার এমন ঘটনা করেছে তার সঙ্গে। কিন্তু হুজুরের মারধরের ভয়ে সে এ নিয়ে কাউকে কিছু বলেনি।”
ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শিশুটির বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েই অভিযান চালিয়ে মনিরুল ইসলামকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।