দুর্নীতি: বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বরখাস্ত

একইসঙ্গে সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2024, 02:57 PM
Updated : 28 March 2024, 02:57 PM

টেন্ডারে অনিয়মসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং দপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং একইসঙ্গে সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে জন্য বলা হয়েছে। 

রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্যের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ড সভার ৩৭/২০ নম্বর সিদ্ধান্তে সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিনের সময়ে কেনা আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির বিল ভাউচার যথাযথ আছে কি-না তা পরীক্ষা এবং প্রস্তাবিত কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি খুলনা শিপ ইয়ার্ডে গেলে তাদের সহযোগিতা করার জন্য তুহিন মাহমুদকে সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য কোষাধ্যক্ষ নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি।

এতে তাদের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা যাচাইয়ে চরম অবহেলা ও অসহযোগিতা করেছেন বলে কমিটির সদস্য মো. ফরিদুল আলম অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম অভিযোগ করেন যে, তুহিন মাহমুদ উপাচার্যের অনুমোদন ছাড়াই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।

এ ছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ক্রয় কার্যাদেশ সংক্রান্ত অফিস আদেশসহ বিভিন্ন ধরনের পত্র জারি করেছেন, যা সরকারি কর্মচারী আইন পরিপন্থি বলে রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্য একমত হয়েছেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ পর্যালোচনা ও রিজেন্ট বোর্ডের ৩৮/০৮ (ক) নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, “তুহিন মাহমুদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা নিরুপণের জন্য তাদেরকে অসহযোগিতা এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কিছু চিঠিপত্র ও অফিস আদেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ মার্চ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করি।”

এ বিষয়ে জানতে তুহিন মাহমুদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।