ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে লাখো মানুষ

জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও অর্ধশত আবাসিক হোটেল এবং বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2023, 04:14 PM
Updated : 13 May 2023, 04:14 PM

কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে এরই মধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ। 

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৩ জন এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ। 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোখা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “এরই মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। যাদের সঙ্গে এসেছে গবাদি পশুও। স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। রাতের মধ্যেই আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা দুই লাখে পৌঁছে যাবে।” 

জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও অর্ধশত আবাসিক হোটেল এবং বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। 

বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, এরই মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় সব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্বীপের ৪ হাজার ৩০৩ জন বাসিন্দা মোট ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। 

এসব মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জরুরি মেডিকেল টিম তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দিচ্ছে। 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মূল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, তাদের বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।” 

এদিকে, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। 

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল থাকছে।