ভোলায় খুঁটিতে বেঁধে এক তরুণকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভোলা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বান্দেরপাড় এলাকায় ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণকে নির্যাতনের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লেও বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশের অজানা ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে ওই এলাকায় তরুণকে নির্যাতন করা হয়। রহিম নামের এক যুবক নির্যাতনের ভিডিওটি তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন৷
এ সময় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম খালাসি সেখানে ছিলেন। ভিডিওটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই তরুণ বরিশাল অঞ্চলের শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় মাছ শিকারী।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তরুণের হাতে রশি পেঁচিয়ে দোকানের একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করছেন।
এ সময় সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাড়াও বেশ কিছু কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ ছিলেন।
ভিডিও ধারণকারী রহিম জানান, গরু চুরির ঘটনার সন্দেহে তাকে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনকারী ওই লোকটির নাম জানাতে না পারলেও তিনি ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের শুটিং স্কুল এলাকার চৌকিদার বলে রহিম জানান।
ইউপি সদস্য জসিম খালাসি জানান, সকালে ওই কিশোরকে বান্দেরপাড় এলাকায় দেখতে পান তিনি। এসময় তিনি ওই তরুণের পরিচয় জানতে চান। এক পর্যায়ে সেখানে অনেক লোক জড়ো হয়।
এ সময় ওই চৌকিদার মোটরসাইকেলে তার চুরি হওয়া গরু খোঁজতে বের হয়ে সেখানে ওই তরুণকে দেখতে পান। এক পর্যায়ে তিনিও ওই তরুণের পরিচয় জানতে চান।
তরুণটি অন্য এলাকার বাসিন্দা হয়েও এখানে কেন এসেছেন এমন প্রশ্ন করেই তাকে রশি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন ওই ব্যক্তি।
এ সময় ওই তরুণ বার বার চুরির ঘটনাটি জানেন না বলে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আকুতি জানান।
ইউপি সদস্য বলেন, কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই চৌকিদার তরুণটিকে মারতে শুরু করেন। তাকে থামানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতাহার জমাদ্দার জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম খালাসি তাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে নেন।
পরে ওই তরুণকে তার হাতে তুলে দেন।
মোতাহার জমাদ্দার জানান, তিনি ওই তরুণকে নিয়ে শ্রীপুর চলে যান। পরে সেখানে তার চিকিৎসা করানো হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহীন ফকির বলেন, এ ঘটনাটি তার জানা নেই। আজ সারাদিন তিনি ব্যস্ত ছিলেন। এ প্রতিবেদকের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।