‘দুর্নীতি’: সিরাজগঞ্জ এলজিইডির ১০ প্রকল্পের নথি তলব

১৮ জানুয়ারির মধ্যে এসব নথি জমা দিতে বলেছে দুদক পাবনা কার্যালয়।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2024, 02:37 PM
Updated : 15 Jan 2024, 02:37 PM

বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে দশ প্রকল্পের নথি চেয়েছে দুদক।

১৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামকে এসব নথি জমা দিতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবনা কার্যালয়।

নথিতে স্বাক্ষরকারী সংস্থাটির পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক জানান, ঢাকা ও রাজশাহী কার্যালয়ের নির্দেশে নথিপত্র চেয়ে চিঠিটি ৩১ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ-কুন্দইল-বারুহাস সড়ক সংস্কার, রায়গঞ্জ-নিমগাছি-সলঙ্গা সড়ক, কাজিপুর মনুসরনগর ইউনিয়ন-ছালারহাট হাট সড়ক ও ৮১ মিটার পিএসসি গার্ডার সেতু প্রকল্প, সোনামুখি-ভানুডাঙ্গা সড়ক ও সোনামুখি-হরিনাথপুর সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের ভদ্রাবতী খাল (উত্তর-দক্ষিণ) খননের দুইটি প্রকল্প, কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ওভার ব্রিজ-রেলঘুণ্টি টু ভারাঙ্গা রাস্তায় কার্পেটিং ও হেরিংবন প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ, বিল প্রদান ও প্রকল্প তৈরিসহ সব নথিপত্র দুদকে পাঠাতে বলা হয়েছে।

প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর গত বছরের ১৫ নভেম্বর তাকে পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু ওই আদেশের ছয়দিন পর এলজিইডির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তা স্থগিত করা হয়।

সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলেন, “বেশকিছু প্রকল্পের নথিপত্র চেয়ে দুদক কর্মকর্তার দেওয়া চিঠিটি পেয়েছি। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ নভেম্বর আমাকে বদলি করা হয়েছিল। ছয়দিন পর ওই আদেশ স্থগিত করায় আমি এখনও স্বপদেই দায়িত্ব পালন করছি।”

এ বিষয়ে রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম জুলফিকার আলী বলেন, “প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও দুদকের তিনটি তদন্ত কার্যক্রম চলছে। আমি নিজেও তার ওপর বিব্রত। যে কারণে আমি সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসেও যাই না।”