কুড়িগ্রামে ভারি বৃষ্টিতে তলিয়েছে ফসল, বন্যার শঙ্কা

টানা ও ভারি বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের অনেক স্থানেই পানি জমেছে।  

কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৩৭ মিলিমিটার। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

রোববার দুপুরে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, “আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এটি আগামী ১৬-১৭ অগাস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা আছে।”

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের প্রধান চারটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

“বড় বন্যা না হলেও মাঝারি আকারের বন্যার শঙ্কা রয়েছে।”

এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় কুড়িগ্রাম পৌর শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বাসভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, হাসপাতাল পাড়া, রৌমারী পাড়া, হাটিরপার এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুরের শ্রেণির মানুষজন।

বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই, পানি নেমে গেলে ঠিক হয়ে যাবে।