মেহেরপুর-১: প্রচারের শেষ দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪ জনকে শোকজ

চিঠিতে ৬ জানুয়ারি প্রার্থী ও তার তিন সমর্থক এবং নৌকার সমর্থককে অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মেহেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2024, 06:44 PM
Updated : 4 Jan 2024, 06:44 PM

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিন নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ চারজনকে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর উপজেলা) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম কবির হোসেন স্বাক্ষরিত আলাদা চিঠিতে তাদের শোকজ করা হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও তার নির্বাচনি সমন্বয়ক মিয়াজান আলী এবং মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানকে শোকজ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ‘ভোটের দিন কোনো কেন্দ্রে ট্রাকের এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হবে না’ হুমকি দেওয়ায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক আব্দুস সামাদ বাবলুকে স্বপ্রণোদিত হয়ে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।

শোকজে বাবলু বিশ্বাসকে বলা হয়েছে, “১ জানুয়ারি রাতে নৌকার নির্বাচনি জনসভায় বাবলু বিশ্বাস বলেন, ‘পিরোজপুরে চারটি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই ট্রাক প্রতীকের কোনো এজেন্ট আছে। তারা কিসের ভয় দেখায় আমি তো বুঝতে পারি না। আমার চেয়ে মাস্তান বেশি কে আছে? আমার চেয়ে যন্ত্রপাতি কার বেশি আছে?

‘আমার চেয়ে কি টাকা তাদের বেশি আছে? তাহলে কিসের ভয় দেখায়। যারা আমার কাছে কাজ করে খেতো কদিন আগে, তারা ভয় দেখায় কিসের? জমি ৩ বিঘা জমি কেড়ে নেব’।”

তার এমন বক্তব্য সংসদ নির্বাচন প্রার্থীর (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১ (ক) ও ১১ (ঙ) লঙ্ঘন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে ৬ জানুয়ারি বাবলু বিশ্বাসকে সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শোকজে বলা হয়েছে, “২ জানুয়ারি পিরোজপুর ইউনিয়নের কাঁঠালপোতায় নির্বাচনি জনসভায় আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘দুর্গা ডোবার আগে এসে হাত মেলাও।’ যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া মিয়াজান আলী সম্পর্কে অভিযোগে বলা হয়েছে, একই দিন নির্বাচনি জনসভায় কাঁঠালপোতায় তিনি বলেছেন, ‘ভোটের পরের দিন সবকিছু দখল করে নেওয়া হবে এবং চাবি কেড়ে নেওয়া হবে।’

আর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের বিরুদ্ধে ‘বাবলু বিশ্বাস এবং ফরহাদ হোসেন ক্যাসিনো ও টেন্ডারের নিয়ন্ত্রক, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে মেহেরপুরের ক্যাসিনো রানী’ বলেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় আব্দুল মান্নান, মিয়াজান আলী এবং শহিদুল ইসলাম পেরেশানকে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।