বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, গাড়ি জব্দ

বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তারদের কেএনএফ সদস্য বলে উল্লেখ করেনি। তবে থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার আসামি বলা হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বম সম্প্রদায়ের তিনজনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; জব্দ করা হয়েছে একটি জিপগাড়ি।

সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাতে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের রেইচা চেকপোস্ট এলাকা থেকে তিনজন ও সোমবার দুপুরে থানচির টিঅ্যান্ডটি পাড়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিংচুন নং এর ছেলে ভাননু নুয়াম বম, থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিংত্লাংপি পাড়ার জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম।

জিমিনিউ ও আমে লনচেও সম্পর্কে ভাই-বোন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তার অপরজন থানচি সদর ইউনিয়নের টিঅ্যান্ডটি পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফের ছেলে কফিল উদ্দিন।

কফিল থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত সাদা রংয়ের ভলভো গাড়ির চালক বলে জানায় জেলা পুলিশ। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারদের কেএনএফ সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়নি। তবে থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার আসামি বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন।

তারা টাকা লুট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর ও একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। টাকার পাশাপাশি লুট করে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি।

রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে বুধবার ভরদুপুরে।

দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে; যারা পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত। এরই মধ্যে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া এ দুটি ঘটনায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে।

শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বান্দরবান পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীর প্রধানকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

রোববার চেউসিম বম নামে একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‌্যাব। তার সম্পর্কে র‌্যাবের ভাষ্য, “কেএনএফ প্রতিষ্ঠার একেবারে প্রথম দিকের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টা এবং কিছুদিন আগে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তার অন্যতম পরামর্শক।”

সবশেষ সোমবার জেলা পুলিশ জানাল দুটি ব্যাংকে হানা দিয়ে লুটের ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের খবর।

আরও পড়ুন

কেএনএফের ‘প্রধান সমন্বয়ক’ গ্রেপ্তার

কেএনএফকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী