বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিবেচনায় মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে জেলা প্রশাসন।
Published : 24 Sep 2024, 03:06 PM
চার দিন আটকা থাকার পর নিরাপদে সাজেক ত্যাগ করেছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় মঙ্গলবার সাড়ে ৭টার দিকে পর্যটকবাহী গাড়িগুলো খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে সাজেক ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা শিরিন আক্তার।
তিনি বলেন, দীঘিনালার ঘটনার পর অবরোধ ঘিরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এসব পর্যটকেরা আটকা পড়েন। যান চলাচল শুরু হওয়া পর্যটকদের তাদের গন্তব্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা বলেন, “মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্কর্টের মাধ্যমে পর্যটকবাহী গাড়িগুলো সাজেক ছেড়ে গেছে। বর্তমানে সাজেকে আর কোনো পর্যটক নেই।”
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, “সকালে সাজেক থেকে রওনা দেওয়া পর্যটকদের সব গাড়ি নিরাপদে খাগড়াছড়ি শহরে ফিরছে।”
এদিকে বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিবেচনায় মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, “এই সময়টাতে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে না যাওয়াটাই উচিত।”
সম্প্রতি পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা। এতে খাগড়াছড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েন শুক্রবার সাজেকে যাওয়া পর্যটকরা।
বিপাকে পড়া এই পর্যটকদের জন্য বিশেষ সাবসিডি দেয় কটেজ মালিকরা, প্রথমদিন ৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দিন ৭৫% পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়।
তবে অবরোধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শেষ দুইদিনে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছিল এই পর্যটন উপত্যকাটি।