Published : 06 Jun 2024, 04:47 PM
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; যাকে হত্যার পর বস্তায় ভরে সেখানে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবি পুলিশের।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের এক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে।
নিখোঁজের দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের রুহানিনগরের স্বর্ণামতি নদীর ধারে ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান আদিতমারী থানার ওসি মাহামুদ-উন-নবী।
নিহত ফরহাদ মিয়া (১৬) উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আরাজি দেওডোবা (শিববাড়ি) গ্রামের শাহাজান মিয়ার ছেলে। সে সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র ছিল। আটক ১৬ বছর বয়সি কিশোর একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ওসি মাহামুদ-উন-নবী বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন ফরহাদ। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ফরহাদের এক বন্ধুকে আটক করা হয়।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কিশোরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকালে তার বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেখানো স্থান থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, “ফরহাদকে ধান ক্ষেতে নিয়ে মাদক সেবনের পর প্রথমে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ বস্তায় ভরে ডোবাতে ফেলে দেওয়া হয়।”
এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
ফরহাদের পরিবার জানায়, সম্প্রতি ফরহাদ ওই কিশোরের কাছ থেকে একটি পুরাতন মোটরসাইকেল ক্রয় করে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তবে মোটরসাইকেলের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
মঙ্গলবার মোটরসাইকেলে করে ওই কিশোরকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে বের হয়ে ফরহাদ নিখোঁজ হয় বলে জানায় তার পরিবার।
ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত রায় বিদুর বলেন, “দুই কিশোরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। লেনদেনের কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। তবে তদন্তে সব কিছু পরিষ্কার হবে।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল করে পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।