প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের সফরে শুক্রবার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আসছেন।
শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে আওয়ামী লীগের সভাপতি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল জানিয়েছেন।
টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও ’৭৫-এর ১৫ অগাস্টের শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ।
তিনি আরও বলেন, এরপর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও পারিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে।
এ সফরকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় টুঙ্গিপাড়ার নেতাকর্মীরা খুবই খুশি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া আসছেন। এতে দলের নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত। তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আমরা চাই শেখ হাসিনা আমৃত্যু এই দায়িত্বে থাকবেন। তাহলে দল ও দেশ উপকৃত হবে।”
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।”