২২ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
Published : 29 Oct 2024, 01:08 PM
ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়কর ও ভ্যাটের ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাঘার সাবেক পৌর মেয়র আক্কাছ আলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে রোববার বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-পরিচালক ফজলুল বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্কাছ আলী ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন-বাঘা পৌরসভার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা) লিয়াকত আলী (৩৯) ও বাঘা পৌরসভার সিএনজি, টেম্পু ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড ইজারাদার মাইনুল ইসলাম (৩৫)।
ফজলুল বারী বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্নভাবে আয়কর ও ভ্যাটের ২২ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে আত্মসাতের অভিযোগে বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীসহ তিনজনের নামে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
“সাবেক এই মেয়র উভয় মামলার প্রধান আসামি। বাকি দুইজনকে পৃথকভাবে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়েছে।”
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপি ও বিশেষ বরাদ্দের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৭৮টি প্রকল্পের ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৮৬ টাকার অনুমোদন পায় বাঘা পৌরসভা। পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আক্কাছ আলী ও তৎকালীন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পের ওই টাকার বিপরীতে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ টাকা আয়কর ও ভ্যাট বাবদ কেটে নেওয়ার নামে শুধু ট্রেজারি চালানের পাতায় ও চেকের পাতায় লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর করে রাখেন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে তা জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়াও ২০০৬ সালের ৪ মে থেকে ২০১৮ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত আক্কাছ আলী বাঘা পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ২০১৬ সালে সিএনজি, টেম্পু, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চলাচলের ফি আদায় এবং বহিরাগত ট্রাক-মাইক্রোবাস সিএনজি, ট্যাম্পু, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের টোল আদায়ের জন্য ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে দুইজনের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ায় এক বছরের জন্য স্ট্যান্ডের ইজারা পান মাইনুল ইসলাম। কিন্তু ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী ইজারার সম্পূর্ণ অর্থ আদায় না করে ইজারাদার মাইনুল ইসলামকে ওই স্ট্যান্ড থেকে টোল আদায়ের অনুমতি দেন মেয়র আক্কাস।
পাশাপাশি তারা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ইজারা থেকে পাওয়া ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
দুদক কর্মকর্তা ফজলুল বারী বলেন, “দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য এই অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলা দুটির তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযেপত্র দাখিলসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”