বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচতলায় ক্যান্টিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা এই মারামারিতে জড়ান।
মারামারির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আহমেদ সিফাত ও আইন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র অমিত হাসান রক্তিম পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও তারা দুইজনই নিজেদের ছাত্রলীগ নেতা দাবি করেন। তারা দুটি পৃথক গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচিও পরিচালনা করেন। মঙ্গলবার রাতে তারা মারামারি করে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতালের স্টুডেন্ট কেবিনে সিফাত আর পাঁচতলার একটি কেবিনে ভর্তি হয়েছেন রক্তিমের সঙ্গী ময়িদুর রহমান বাকি।
রক্তিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাকি দুপুরে কেবিন সংলগ্ন কেন্টিনে খাবার খেতে যান।
“এ সময় সিফাত দলবল নিয়ে এসে হঠাৎ বাকির ওপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে তার মা ও ভাই ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলার চেষ্টা করেন সিফাত। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে গেলে সিফাতরা পালিয়ে যান।”
তবে সিফাত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সিফাত পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “রক্তিম আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেছেন।”
কিভাবে তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারেননি সিফাত।
কোতোয়ালি থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, “দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আবার যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।”
রক্তিম ও সিফাত উভয়ই হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও