আটকের পর বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান।
আটককৃতরা হলেন জেলার আটোয়ারী উপজেলার বড়দাপ এলাকার কলিম উদ্দীনের ছেলে মোকসেদুর রহমান (২৮), ছোটদাপ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আহসান হাবিব (২৮) ও ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি এলাকার বাবর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দীন (৩৮)।
তাদের মধ্যে মকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিব চাকরিপ্রার্থী। আর বেলাল উদ্দীন জালিয়াতি চক্রের সদস্য বলে পুলিশের ভাষ্য।
ওসি লতিফ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের ভাইভা হয় মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। মকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিবের ভাইভায় সন্দেহ হলে লিখতে বলা হয়। তাদের হাতের লেখার সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের উত্তরপত্রের হাতের লেখায় মিল পাওয়া যায়নি।
“পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের উত্তরপত্রে তারা নিজেরা লেখেননি। অন্য কেউ প্রক্সি দিয়েছে। তারা আর্থিক লেনদেনের কথাও স্বীকার করেন।”
পরে কৌশলে বেলালকে আটক করে পুলিশ। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ওসি বলেন, “বেলাল লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১৮ লাখ টাকার চুক্তি করেন এই দুই চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে। এ জন্য বেলাল ব্ল্যাংক চেক নেন আগেই। তাছাড়া বেলাল ব্ল্যাংক চেক নিয়ে ঋণ দেন অনেককে। ঋণ পরিশোধের পর চেক ডিজ অনার মামলাও করেন অনেকের বিরুদ্ধে “
তিন আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম এমএম মাহবুব ইসলাম দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন, জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পঞ্চগড় থানার এসআই সামসুজ্জোহা সরকার।