উপজেলার ছোট চামতারা গ্রামের ইয়ামিন মোল্লার দুটি, পোতাজিয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের পাঁচটি, গোলাম মোর্শেদ ও মানিক ব্যাপারীর একটি করে গরু আক্রান্ত হওয়ার কথা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “গত তিন বছর ধরে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগটি দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এটি বেশি হয়। সাত থেকে আট দিনের চিকিৎসায় আক্রান্ত গরু সুস্থ হয়ে উঠে।”
“উপজেলায় দুই শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত গরুগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি ছোঁয়াছে রোগ না হওয়ায় দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আশা করছি, কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরুতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”
এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীর স্থানে স্থানে ফুলে যায় বলে জানান খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় সাত হাজার খামারে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার গরু রয়েছে। এ বছর খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা কোরবানির জন্য ৭০ হাজারের বেশি গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪৬১টি এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ২৪ হাজার ২৮০টি।