সদর থানায় শনিবার সন্ধ্যায় অপহরণ ও প্রতারণার অভিযোগে পাল্টপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে বলে থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, ঢাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. আলী সিদ্দিকীর অপহরণ মামলায় রাজবাড়ী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনোদপুরের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান পলাশ (৪৬), শহরের ভবানীপুরের বাসিন্দা আশিক মিয়া (২৬), বিনোদপুরের মারুফ আঞ্জুম নিলয় (২৯) ও ধুঞ্চির সাগর শেখকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান পলাশের স্ত্রী শাম্মী আক্তারের প্রতারণা মামলায় মো. আলী সিদ্দিকী (৪৭), ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা বাবুল আক্তার (৪৪) এবং কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা মীর আবু সাবেদকে (৪০) আসামি করা হয়।
মো. আলী সিদ্দিকীর মামলার বরাতে ওসি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসার লেনদেন থাকায় আলী সিদ্দিকী দুজন সহযোগীকে মাইক্রোবাসে করে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী শহরের এফএন টাওয়ারের কাছে পৌঁছালে পলাশ দলবল নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করেন। তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে মারধর করে এফএন টাওয়ারের নিচে নিয়ে আটকে রাখেন।
“এ সময় তারা পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে চাই। এর মধ্যে তিনি ফোনে বিষয়টি তার ভাইকে জানালে রাজবাড়ী সদর থানাকে অবগত করা হয়। শনিবার দুপুরে পুলিশ এসেছে খবরে অপহরণকারীরা তাকে ভবানীপুর গ্রামের একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।”
এর বিপরীতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন পলাশের স্ত্রী।
সেই মামলায় বলা হয়, মো. আলী সিদ্দিকীসহ অন্য আসামিরা তার স্বামীকে ইন্টারনেট ব্যবসার ডিলার নিয়োগের প্রস্তাব দেন। ২০ লাখ টাকা চুক্তিতে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিলে কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়। গত ৫ এপ্রিল ছয় লাখ টাকা এবং ১৯ মে আরও চার লাখ টাকা দেন পলাশ। তারপরও কাজ শুরু না করে আরও টাকা দাবি করলে ১৩ জুন আরও দুই লাখ টাকা দিলেও তারা কাজ শুরু করেনি। পলাশ তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ওসি বলেন, দুই মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।