বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশে জমে আছে পানি। পানির মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন আকারের পাথর ও বালু। ডিপোগুলোতে পাথর আছে, পাথর ভাঙার মেশিন আছে, কিন্তু নেই শ্রমিক। নেই কর্মচাঞ্চল্য, নেই মানুষের কোলাহল।
বন্যার কারণে প্রায় এক মাস ধরে বন্দরটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানান বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন, বন্দরে যাতায়াতের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ছয় হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এছাড়া এ কাজের সঙ্গে জড়িত অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় শ্রমিকদের পরিবারে দেখা দিয়েছে অভাব। অনেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন।
তালিকা করে অতিদরিদ্র শ্রমিকদের সাহায্য করা দরকার বলে অখিল মনে করেন।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, “বন্দর অচল হওয়ায় ছয় হাজার শ্রমিক অত্যন্ত অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন।”
তাদের দ্রুত সহযোগিতার দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।