মানিকগঞ্জে বাসচাপায় ২ সচিব নিহতে চালকের কারাদণ্ড

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বাসচাপায় দুই সচিব নিহতের মামলায় ওই বাসের চালকের নয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ সাত হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2022, 05:23 PM
Updated : 24 May 2022, 05:23 PM

মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি দ্রুতি পরিবহনের বাস চালক মো. আনোয়ার হোসেন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। আনোয়ার হোসেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামার খেলা গ্রামের প্রয়াত হানিফের ছেলে। জামিনে মুক্ত হয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

প্রায় এক যুগ আগে শিবালয় উপজেলার উথলী সংযোগ মোড়ে বাসচাপায় নিহত হন মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রিজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মথুর নাথ সরকার জানান, তার সব সাজা দেওয়া হয় দণ্ডবিধির চারটি ধারায়। এর মধ্যে রয়েছে ২৭৯ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০৪-খ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, ৩৩৮-ক ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪২৭ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

“বর্ণিত সাজাগুলো একটির পর একটি কার্যকর হবে। একই সাথে আসামির উপর ৩০৪-খ ধারায় আরোপিত অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে নিহত দুই পরিবারকে সমহারে প্রদান করার নির্দেশও দেয় আদালত।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ জুলাই মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রিজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান একটি পাজেরো জিপে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।

শিবালয় উপজেলার উথলী সংযোগ মোড়ে সকাল ৭টার দিকে দ্রুতি পরিবহনের বাসটি তাদের গাড়িকে চাপা দেয়। উদ্ধার করে তাদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সেদিনই বিসিক প্রধান কার্যালয় ঢাকার এজিএম মো. সামসুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল ইসলাম ভূইয়া ২০১০ সালের ১৯ অগাস্ট একজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।