মানিকগঞ্জে হত্যার দায়ে ২ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একজনকে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। তাছাড়া একই মামলায় আরও চারজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে একই আদালত।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2022, 03:04 PM
Updated : 17 May 2022, 03:04 PM

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চার আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার চরডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ওমর হোসেন সাইফুল ও একই উপজেলার বাবনা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুজ্জামান সজীব।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার খাসঘুনীপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. আলী সীমান্ত, একই উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আজীম খান, শালীয়ারা গ্রামের শফিকুল আলেমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মাদারপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন।

তাদের মধ্যে সাইফুল, সজীব ও সীমান্ত পলাতক।

অন্য তিন আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।

২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় আদালতের এই রায় আসে।

জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ঘোষবের গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি মাইক্রোবাস চালক ছিলেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরকে ঘিওর এলাকায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার মাইক্রোবাস ছিনতাই করেন আসামিরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঘিওর থানার এসআই লুৎফর রহমান অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

মামলা তদন্ত শেষে ঘিওর থানার এসআই এনামুল হক চৌধুরী ২০১২ সালের ২৬ ফ্রেবুয়ারি ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেয় আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মথুরনাথ সরকার। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম, আহসান হাবীব ও হুমায়ূন কবির।