আহতদের জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে, পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে একজনকে।
সদর থানার ওসি একেএম আলমগীর জাহান মামলার নথির বরাতে জানান, ভাদসা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিজিডি চাল বিতরণের জন্য নামের তালিকা করছিলেন। ওই সময় দুর্গাদহ গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা বিউটি (৫৮) ও তার মেয়ে মারুফা পিন্টুর কাছে ভিজিডি কার্ডের আবদার করেন। বিউটি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
“তারা পিন্টুকে ভোট দেননি, এ কারণে তাদের ভিজিডি কার্ড দেওয়া হবে না বলে ইউপি সদস্য পিন্টু অকথ্য ভাষায় বৃদ্ধা ও তার মেয়েকে গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা তাদের বেধড়ক মারধর করেন।”
স্থানীয়রা আহত জাফর হোসেন (৫৫), তার মেয়ে রূপসানা (২৭), রূপসানার ছেলে দেলওয়ার (১৮), রূপসানার স্বামী দেলওয়ার হোসেন (৩০), বৃদ্ধা ভিক্ষুক, তার মেয়ে মারুফা (১৭), শেলি (১৭) নামে এক কিশোরী ও রুবি খাতুন (৫০) নামে একজনকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
ইউপি সদস্য পিন্টুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, ঘটনার পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। তিনি তাদের আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানান।
ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিসি মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "আপনার, আমার কারও মারার বিধান নাই। মামলা হয়েছে। বিধিমোতাবেক ইউপি সদস্যের বিরূদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।"
পুলিশ পিন্টুকে ধরতে না পারলে হায়দার আলী (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি একেএম আলমগীর জাহান।