ঝিনাইদহে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, তদন্তে কমিটি

ঝিনাইদহে আয়রন-ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর এক স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে; অসুস্থ হয়েছে আরও তিন ছাত্রী।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2022, 11:57 AM
Updated : 28 March 2022, 12:29 PM

ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে হয়েছে বলে জেলার সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ জানিয়েছেন।

রোববার সকালে সদর উপজেলার হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির রেবা খাতুন নামে এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী বলেন, দেশব্যাপী কৈশোরকালীন পুষ্টি নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির আওতায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে সরবরাহ করা হয় আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট।

“সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেই ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় শিক্ষার্থীদের। এর কিছুক্ষণ পর চার ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে; বমি করতে থাকে। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয় তাদের। সেখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রেবাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

তাছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী আর দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয় হয়েছে বলে তিনি জানান।

রেবার বাবা সাগর হোসেন জানিয়েছেন, তার মেয়ের কোনো অসুখ ছিল না। সকালে মিষ্টিকুমড়া আর ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে স্কুলে যায় রেবা।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদ্মকর ইউনিয়ন পিরষদ চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাস মৃত্যুর কারণ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, “আইরন-ফলিক ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যুর কোনো কারণ নেই। মেয়াদ উত্তীর্ণ  ট্যাবলেট খাওয়ালে বড়জোর পায়খানা হতে পারে; মারা যাবার কথা না।”

লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মৃত্যুর কারণ বের করার চেষ্টা চলছে। সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট আনোয়ারুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিথিলা ইসলাম এবং সিভিল সার্জন দপ্তরের চিকিৎসা কর্মকর্তা তাসমিম।

কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।