আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রয়াত মিলন চাকমা (৪৭) দীঘিনালায় ইউপিডিএফের সংগঠক ছিলেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে দীঘিনালার বাবুছড়ার বাঁশটালা এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর একটি টহল দল মিলন চাকমাকে আটক করে। এ সময় তার বাসায় তল্লাশি করে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, তিনটি অবৈধ ওয়াকিটকি, আটটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও একটি পোর্টেবল জেনারেটর উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মিলন চাকমা দীর্ঘদিন ধরে দীঘিনালা এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা-খুন, বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় তিনটি মামলা চলমান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারের পর মিলন চাকমাকে দীঘিনালা সদরে নিয়ে আসার পথে অসুস্থ বোধ করলে তাকে সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় সেখানে সকাল আনুমানিক ৯টায় ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে’ তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
এদিকে, ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে মিলন চাকমা ওরফে সৌরভকে ‘নির্যাতনে হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পাঠানো বিবৃতিতে অংগ্য মারমা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ সংগঠক মিলন চাকমাকে আটক করে ‘অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন’ চালানো হয়েছে। এতে তার শরীরের অবস্থা খারাপ হলে দীঘিনালা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।
বিবৃতিতে তিনি আরও অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনে সরকার খুন-গুমের পথ বেছে নিয়েছে। ইউপিডিএফের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের বিনাবিচারে হত্যা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি মিলন চাকমা ‘হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।