জাবির সদ্য সাবেক উপাচার্যের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2022, 04:13 PM
Updated : 2 March 2022, 04:13 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর এলাকা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যায়।

সেখানে কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের বাধা দেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। তবে শিক্ষকরা অল্প সময়ের মধ্যেই সরে যান। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক অংশুমান রায় বলেন, “শিক্ষকদের কাছে আমাদের সব সময় আশা থাকে যে তারা আমাদের দুঃখ, ক্ষুব্ধতার জায়গাটুকু বুঝবেন, অন্তত আমাদের সমব্যথী হবেন।

“কিন্তু উপাচার্য ফারজানা ইসলামের পুরো দুই মেয়াদে সকল অন্যায়-অনাচার-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকরা চুপ থাকলেও এখন তারা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাঈদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি সমাবেশে বক্তব্য দেন।

তারা সদ্য সাবেক উপাচার্যের দুর্নীতির বিচার দাবি করেন।

বুধবার ছিল উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের শেষ দিন।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এখন আর উপাচার্য নেই। তিনি এখন আমাদের সহকর্মী। সেই জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে তারা যেন চলে যায়।”

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খালিদ কুদ্দুসও শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের শেষ দিন হওয়ায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে আসিনি। তবে পরিস্থিতি দেখে আমাদের সহকর্মী ফারজানা ইসলামের নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে তদন্ত শুরু হয়, যা এখনও শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ তখন এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব ইউজিসিকে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তকালীন অবস্থায় উপাচার্য ফারজানা ইসলাম টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তার দায়িত্ব শেষ করেন।

তদন্ত কমিটির একজন সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজ।

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “কোনো কাজ হয়নি এখন পর্যন্ত। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য আমি। কিন্তু কমিটির আহ্বায়ক এখন পর্যন্ত কিছুই বলেননি। আহ্বায়ক কিছু না বললে আমার কিছু করার নেই।”