লাশ দুটি উদ্ধারের একদিন পর বৃহস্পতিবার পুলিশ তাদের পরিচয় পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
এরা হলেন তাপসী রানী ঘোষ (৪৫) ও রোহান চৌধুরী (২০)। বুধবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর হাজীগঞ্জ ঘাট পশ্চিম পাড় থেকে তাপসী রানী ও রোহানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের বরাতে নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, তাপসী রানী ঘোষ শহরের পালপাড়ার বাসিন্দা প্রয়াত গণেশ ঘোষের স্ত্রী এবং রোহান চৌধুরী বাবুরাইল এলাকার প্রয়াত দীনু চৌধুরীর ছেলে। এই ঘটনায় থানায় হত্যা ও অপমৃত্যুর পৃথক দুটি মামলাও হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত রোহান চৌধুরী শহরের একটি হোসিয়ারি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। চার দিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় সদর থানায় জিডি করেছিলেন তার স্বজনরা।
“বুধবার [২৬ জানুয়ারি] দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে। পরে রাত ১০টার দিকে তার পরিচয় পাওয়া যায়।”
সদর থানার ওসি শাহ্ জামান বলেন, নিহত তাপসী রানীর ভাই ননী গোপাল ঘোষ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। তাপসী রানীকে অজ্ঞাত আসামিরা হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী।
রোহান চৌধুরী নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। দুটি লাশেরই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
তাপসী রানীর ভাইয়ের মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাপসী রানী ঘোষ। এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। বিধবা এই নারী শহরের পালপাড়া এলাকার একটি ভাড়াবাসায় একমাত্র কিশোর সন্তান পিয়াস ঘোষকে (১২) নিয়ে বসবাস করতেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকার কারণে ভাইয়েরা তাকে সহায়তা করতেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ফোরকান মিয়া জানান, নিহত নারীর মরদেহের পায়ে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে যুবকের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।