আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ শাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2022, 06:09 PM
Updated : 15 Jan 2022, 06:26 PM

প্রক্টরের উপস্থিতিতে শনিবার  সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরের পাশে কিলো রোডে এই হামলা হয় বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেন। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আন্দোলনরত ছাত্রীদের মুখপাত্র হিসেবে ২০১৬-১৭ সেশনের একজন ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রথমে একটা অ্যাম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকে পথ করে দিই। পরবর্তীতে আরেকটা অ্যাম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকেও পথ করে দিই।

“কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের পেছন পেছন এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে আন্দোলরতদের মাঝে ঢুকে পড়ে। এ সময় ছাত্রীরা তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা ১০-১২ জন ছাত্রকে তারা বেধড়ক মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবির এ সময় সেখানে ছিলেন।”

তার অভিযোগ, “সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝুটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফসহ আট-দশজন এই হামলা চালিয়েছে।”

বর্তমানে বিশ্ববিদালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি নেই।

মৃন্ময় দাস ঝুটন বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

আর আশরাফ কামাল আরিফ বিলুপ্ত কমিটির সদস্য। তিনি ‘একটু হাতাহাতি হয়েছে’ বলে স্বীকার করেছেন।

আশরাফ বলেন, “আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। তখন এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে একটু হাতাহাতি হয়।”

প্রক্টর আলমগীর কবিরও ‘একটু হাতাহাতি হয়’ বলে দাবি করেন।

প্রক্টর বলেন, “'একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী যান। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স যেতে বাধা দিলে একটু হাতাহাতি হয়।”

অসদাচরণের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন ছাত্রীরা। তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে এই আন্দোলন।

ছাত্রীরা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।