নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে এ দণ্ডাদেশ দেয়।
একইসঙ্গে তাকে একশ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান মনজুরুল আলম।
সাজাপ্রাপ্ত শ্যামাপদ বর্মন (১৯) নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের ভবেশ বর্মনের ছেলে এবং নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সহকারী কমিশনার মনজুরুল আলম বলেন, ওই কেন্দ্রে সকালে টিকরামপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল শাখার পরীক্ষা চলছিল। কেন্দ্রে ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অশংগ্রহণ করে।
“অন্যের হয়ে ওই ভুয়া পরিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্ষ পরিদর্শনে গেলে প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
“পরে কৌশলে তাকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শ্যামাপদ দোষ স্বীকার করে বলেন, তিনি তার চাচার বদলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।”
মনজুরুল আলম আরও বলেন, “আটক করার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে পাবলিক পরীক্ষা আইন সমূহের ধারা অনুযায়ী তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং একশ টাকা জরিমানা করা হয়।”
ওই কলেজের কেন্দ্রপ্রধান গোলাম শফি কামাল বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অবশ্যই দুঃখজনক। ভবিষ্যতে যেন এ রকম ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে নজর দিব।”