ঢাকা-কুড়িল-ভুলতা সড়কের কাঞ্চন সেতু এলাকায় শনিবার সকালে তারা এই বিক্ষোভ দেখান।
কর্মসূচিতে ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হারেজসহ জমির মালিকেরা।
হারেজ বলেন, “উপজেলার পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী মৌজায় ৩২০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে মেট্রোরেল লাইন ১-এর জন্য। পিতলগঞ্জ মৌজার নাল জমি ২০১৭ সালে সরকার তেলের ডিপোর জন্য অধিগ্রহণ করে প্রতি শতাংশ আট লাখ ৬৪ হাজার টাকা করে। এখন সরকার মেট্রোরেলের জন্য একই মৌজার নাল জমির দাম ধরেছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অথচ এর বাজার দর এর চেয়ে বেশি।”
তাই তারা ন্যায্য মূল্যের দাবিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেন বলে জানান তিনি।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, জমির দামের বৈষম্যে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ন্যায্য মূল্য না দেওয়াকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
গাছপালা, বসতঘর ও কৃষিজমির ন্যায্য মূল্য ও ক্ষতিপূরণ না দিলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর গণআন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ১২৪তম সভার সুপারিশে এ প্রকল্প সরকার অনুমোদন করে। পরে প্রকল্প এলাকার ৪০৩টি আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রকল্প উন্নয়ন কাজের প্রাথমিক ধাপ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে তিনি জানান।