গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় জামায়াত নেতাসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

গাইবান্ধায় ২২ বছর আগের এক হত্যা মামলায় এক জামায়াত নেতাসহ আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2021, 11:01 AM
Updated : 18 Nov 2021, 11:01 AM

গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

তাছাড়া প্রত্যককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে একই আদালত।

মামলার অপর আট আসমির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়াম্যান উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আবু তালেব, সদস্য আবদুর রউফ, মো. জালাল, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

তাদের মধ্যে আবু তালেব ও মিজানুর রহমান এখনও পলাতক।

অন্য ছয়জন রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।

জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৯৯৯ সালের চাঞ্চল্যকর হাসান আলী (৫০) হত্যা মামলায় আদালতের এই রায় আসে।

আদালতের পিপি ফারুক আহম্মদ প্রিন্স মামলার নথির বরাতে জানান, ১৯৯৯ সালে পলাশবাড়ী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ী উপজেলার সুইগ্রাম ও আমবাড়ী গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে একাধিকবার  ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া, সংর্ঘষ ও পথেঘাটে মারধরের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ওই বছর ২২ অগাস্ট পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের হাসান আলীকে হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। ওই দিনই তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম পলাশবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায়  ১৭ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে বাবর আলী নামে এক আসামি মারা গেলে পুলিশ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় আদালতে।

আাসামিদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীব সিরাজুল ইসলাম বাবু, আবদুল হালিম প্রমানিক ও শিশির মনির।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।