মঙ্গলবার বিকেলে দুদক-খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয় বলে উপপরিচালক নাজমুল হাসান জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক এখন চুয়াডাঙ্গা জেলায় পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বরত। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চুলকাঠি এলাকায়।
আবু বকরের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়েছে, দুদকে তিনি সম্পদের যে হিসাব বিবরণী দিয়েছেন, সেখানে ১৯৮৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে। তার ৩৩ লাখ ৮৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক, যা তার আয়ের সঙ্গে ‘সংগতিপূর্ণ নয়’।
সরকারি চাকরিতে থেকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ তিনি ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা স্ত্রীর নামে দান দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্য মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে, সেখানে আবু বকরের নাম এসেছে আসামির তালিকার ২ নম্বরে।
মামলার বাদী দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, পারুলের সম্পদ বিবরণীতে ২০০০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৯০২ টাকার ‘তথ্য গোপন’ করা হয়েছে। তার ১ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যা তার আয়ের সঙ্গে ‘সংগতিপূর্ণ নয়’।
আবু বকর ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা স্ত্রীকে দান হিসেবে দেন এবং ঠিকাদারী ব্যবসার মাধ্যমে আয় দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।